Welcome
রত্ন অধ্যয়ন এবং সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বিজ্ঞানকেই Gemology বলা হয়| প্রায় দুই হাজার বছরেরও অধিক সময়কাল ধরে রত্ন দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীদের নিজের সৌন্দর্যে বিমোহিত করে এসেছে| রক ক্রিস্টাল, গার্নেট, জেড, এমিথিস্ট, সিট্রিন, পোখরাজ, লাপিজ লাজুলি, আম্বার, কোরাল, মুক্তা, পান্না, সার্পেন্টাইন এবং ফিরোজা গহনার কাজে প্রচুর পরিমানে ব্যবহৃত এবং সমাদৃত হয়েছে। এই ধরণের বহু মূল্যবান রত্ন গুলি সাধারণত ধনীদেরই করতলগত থেকে এসেছে এবং দুর্মূল্য হওয়ার কারণেই ইহা বহু প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষমতা এবং পদমর্যাদার মানদণ্ড হিসাবে স্বীকৃত। বহুকাল যাবৎ শাসকেরা তাদের মনি রত্ন খচিত সিল মোহর ব্যবহার করেছেন যা এখন বিভিন্ন মিউজিয়ামে নিদর্শন রূপে সংরক্ষিত।
বর্তমান সময়ে রত্ন শুধুমাত্র ধন-সম্পদ এনং অবস্থার প্রতীক হিসাবেই ব্যবহৃত হয় না, উপরন্তু জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন্ প্রয়োজনেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে নয়টি ভিন্ন রত্ন নয়টি গ্রহের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন রুবী, পান্না, হীরা, নীল এবং হলুদ নীলকান্তমণি, Crysoberyl, Hassonite, কোরাল, মুক্তা এবং এদের প্রাকৃতিক বিকল্পগুলি। ভারতে জ্যোতির্বিদ্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে রত্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণ কৃষক থেকে রাজনিতিবিদ সকলেই রত্নের প্রতি অগাধ বিশ্বাস পোষণ করে।
অনেক রত্নের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক অদ্ভুত কাহিনী। মানুষ বিশ্বাস করে রত্ন যেমন সম্পত্তি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে তেমনি কিছু রত্ন হয়ে ওঠে পতনের কারণ।
একজন জেমোলজিস্ট জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ নাও হতে পারেন কারণ তার কর্মক্ষেত্র জ্যোতিষ নয়, রত্ন। কাজেই জ্যোতিষ সম্পর্কে তার সাথে আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক।
বর্তমান সময় আমরা বাজারে বিক্রীত সিন্থেটিক রত্নের সত্যতা যাচাই করে সাধারণ মানুষকে সেটি সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে পারি। এই প্রকার সিন্থেটিক রত্নের কোনো প্রকার বাণিজ্যিক বা জ্যোতিষ মূল্য নেই। কাজেই রত্ন কেনার পূর্বে সর্বদাই তা যাচাই করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
উপরন্তু বেশিরভাগ রত্নেরই রং বর্ধন করা হচ্ছে উত্তাপ, উদ্ভাস বা কেমিক্যাল রঙের মাধ্যমে। রত্নের মূল্য তার স্বচ্ছতা, বর্ণ, কাটার পদ্ধতি এবং ওজনের উপর নির্ভর করে। এইসব কারণে কোনো রত্ন ক্রয়ের পূর্বে সকলেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।